শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ ৫ অক্টোবর, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০০ সালে এইচ এস সি (১ম ব্যাচ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ক্যান্টনমন্টে-এ অবস্থিত এই কলেজ থেকে বহু ছাত্রছাত্রী কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করে বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পেশায় সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ হয়ত চাকুরী খুঁজছেন। বেশিরভাগ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের কলেজ গুলোতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এমন সংগঠন রয়েছে। যা তাদের সামাজিক কার্যক্রমগুলো পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বর্পূণ কাজ করে থাকে। প্রাক্তন এইসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের উত্তম ও কার্যকর মাধ্যম হলো অ্যালামনাই এসোসেয়েশন। এই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে পুরোনো সহপাঠীদের মধ্যে যেমন সুসর্ম্পক স্থাপনের সুযোগ তৈরি হবে তেমনি নবীন, প্রবীন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটি সুন্দর মিলবন্ধন সৃষ্টি হবে। এরূপ সর্ম্পক স্থাপনের ফলে এসোসিয়েশনের সকল সদস্যরা নানাদিক থেকে উপকৃত হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে গ্লোবাল শিক্ষা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষাদান ও গ্রহণে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য অ্যালামনাই এসোসয়িশেন অনেকখানি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে প্রাক্তনীরা মনে করে। আমরা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অনেক বার উদ্যোগ নেই পুর্ণাঙ্গ অ্যালামনাই এসোসয়িশেন গঠন করবার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের কলেজের শিক্ষক নূর নাহার ইয়াসমিন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর অ্যালামনাইকে অগ্রসর করবার জন্য পুনরায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন এবং সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ পুর্ণাঙ্গ অ্যালামনাই এসোসয়িশেন গঠনের জন্য দ্রুত কাজ শুরু করতে বলেন। পূর্বে কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় হিসেবে ড. হুমায়ুন কবির স্যার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। উনার হাত ধরেই মূলত ২০১০ সালের রিউনিয়ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু তখন অ্যালামনাই এসোসয়িশেনের নাম বঙ্গাব্দ ছিল। ২০০০ ব্যাচের কাজী মাহমুদুর রহমান, তানভীর উল্ল্যাহ, সাকির সিদ্দিকী, মুশফিকুর রহমান, ২০০৩ ব্যাচের মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল আহমেদ, মনসুর আহমেদ মাসুম, নিপাসহ আরো অনেকেই এর পিছনে শ্রম দিয়ে প্রোগ্রামটিকে সফল করেন এবং এর পর থেকে কয়েক বছর বঙ্গাব্দ নামেই অ্যালামনাই পরচিতি লাভ করে। যেহেতু অ্যালামনাই এসোসয়িশেন অন্য নামে হয় না, কলেজেরই নাম রাখতে হয় তাই পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে “শহীদ বীর বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন” করা হয়। এরপর এর সার্বিক উৎকর্ষ সাধন ও সুনাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২৫ মে ২০১৮ তারিখে শহীদ বীর বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদরে আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও সংর্বধনা অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমিন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে ১৯জন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠনের দায়িত্ব দেন। সে লক্ষ্যে গত ১২ অক্টোবর’২০১৮ তারিখে ঐ ১৯ জন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের কমপক্ষে ১৫ জনের উপস্থিতিতে কমিটি গঠনের একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। উক্ত কমিটির প্রস্তাবিত রূপরেখা নিম্নরুপ: রূপরেখা প্রস্তাবনার শুরুতেই অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নাম “শহীদ বীর বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন” - প্রস্তাব করে সার্বজনীনভাবে গৃহীত হয়। এই এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব সাইদুর রহমান শিপলু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। পরবর্তীতে ১৭ মার্চ ২০২৩ সালে “শহীদ বীর বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন” এর সভাপতি জনাব এ এইচ এম তানভীর উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল আহমেদ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হোন এবং ০৮ এাপ্রল ২০২৩ সালে ১ম পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন।